রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ফুড টেকনোলজি বিষয়টি যাত্রা শুরু করে। কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে এই প্রয়াস । বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলো খাদ্য বিজ্ঞানের উপর জোর দিচ্ছে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ। খাদ্যের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে ফুড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা । এ বিষয়ে ডিগ্রী ধারীদরে রয়েছে সম্ভাবনার নতুন দিক। কেননা বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে বাড়ছে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি একই সাথে বাড়ছে কাজের সুযোগ। আবার দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে চাকরির সুযোগও রয়েছে। খাদ্যের অবিরাম সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং উৎপাদিত খাদ্যের গুণগত মান ঠিক রাখাই ফুড টেকনোলজিস্ট দের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া উদ্যোক্তা হয়ে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখাতে পারবে শিক্ষার্থীরা ।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফুড টেকনোলজিতে পড়লে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে খাদ্যের মান নিযন্ত্রণ, পুষ্টিগুণ, পুষ্টির অভাব জনিত রোগ ও প্রতিকার, খাদ্য রপ্তানি ও আমদানি সম্পর্কিত আইন, খাদ্যের জৈব রসাযন, প্রাণ রসায়ন, খাদ্যের অণুজীব বিদ্যা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করণ ও সংরক্ষণ ইত্যাদি। কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামী ২ থেকে ৩ বছরে বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টর বাড়বে ১০ শতাংশেরও বেশি।
বর্তমানে ফুড প্রসেসিং সেক্টর অত্যন্ত আধুনিক হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, প্রসেস্ড এবং প্যাকেজড খাবারের চাহিদা বেশ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ফলে সেই চাহিদার যোগান দিতে, দেশে বাড়ছে ফুড প্রসেসিং প্ল্যান্টের সংখ্যাও। যার ফলে সামগ্রিক ভাবে বাড়ছে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির আয়তন ও সংখ্যা । ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হচ্ছে প্রচুর জীবিকার সুযোগ।
ডিপ্লোমা শেষে শিক্ষার্থীরা ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ কেমিক্যাল এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী র্অজনের জন্য ভর্তি হতে পারে । এছাড়া বাংলাদশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে।
ডিগ্রী অর্জনের পর দেশের বড় বড় ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন FAO, FDA, WHO, UNDP ইত্যাদিতে কাজ করার সুযোগ। আরো যে সব বিভাগে কাজের সুযোগ আছে সেগুলো হল, ফুড প্রসেসিং, নিউট্রিশন ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ফুড রিসার্চ ল্যাবরেটরি, ফুড হোলসেলার, হসপিটাল, কেটারিং সংস্থা, রিটেলার, পোল্ট্রি প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকিং ইন্ডাস্ট্রি, ফিশ প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকিং ইন্ডাস্ট্রি, ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি, কনফেকশনারি ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি । এছাড়া ন্যাশনাল-মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, ফিটনেস সেন্টার, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন এনজিও তে কাজের সুযোগ রয়েছে। আছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষতার সুযোগ ।এক কথায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফুড টেকনোলজি বিষয়টি খুবই গুরুত্ব বহন করে ।
ছবি | নাম | পদবি |
---|---|---|
পাপিয়া সুলতানা | চিফ ইন্সট্রাক্টর(টেক) ফুড(১ম শিফট) | |
ইঞ্জিনিয়ার জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ | ইন্সট্রাকটর (টেক/ফুড) | |
শিবলু আহমেদ | ইন্সট্রাক্টর(টেক)ফুড | |
তৌফিকুল ইসলাম | ইন্সট্রাক্টর(টেক)ফুড | |
মোঃ আরাফাত হোসেন | জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(টেক/ফুড) | |
রিনা সুলতানা | জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(টেক/ফুড)(১ম শিফট) |