আমাদের আধুনিক জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এতটাই বেড়েছে যে এখন পৃথিবী যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যেটা আসলে এলেক্ট্রনিকস অথবা ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া অসম্ভব। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বর্ণালী গবেষণা এবং ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, ট্রানজিস্টর, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করা হয়। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন- টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি ডিজাইন তৈরি ও ডেভেলপ করে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন রোবটিক্স, হার্ডওয়্যার, পাওয়ার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন ও উন্নয়নের কাজগুলো তারা করে থাকেন।
ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি শাখা যেখানে ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান দেয়া হয়। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ বৈদ্যুতিক বিষয়ক সার্কিট, বৈদ্যুতিক প্রকৌশল উপাদান, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, এমবেডেড সিস্টেম, উন্নত উপকরণ সিস্টেম, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক্স মেশিন এবং পরিমাপ বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এখানে শিক্ষার্থীরা ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিট, কম্পিউটার সিস্টেমের ডিজাইন নিয়ন্ত্রণ এবং বিকাশ সম্পর্কে শিখে।
ক্যারিয়ার হিসেবে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে দ্রতগতির প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়ন দক্ষ প্রকৌশলী বন্টন ব্যবস্থা করার জন্য ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশলীদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সোলার আরে, সেমিকন্ডাক্টর এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবনের জন্য দেশের বিদ্যুৎ গ্রিড আপগ্রেড করার জন্য দরকার ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার এর। এছাড়া প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে বাড়ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার, যেগুলোর তৈরি, বিকাশ, উন্নয়ন সবকিছুই হয় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে। দৈনন্দিন জীবন সহজ থেকে সহজতর হওয়া সম্ভব হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স এর কারণে। এসব দেখে বোঝা যায় যে ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা আরো বাড়বে।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর দায়িত্ব
একজন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ গুলো বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং জটিল। তাদের অনেক বড় পরিসরে দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন-
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর কর্মক্ষেত্র
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র বিস্তর পরিধি। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-
উচ্চশিক্ষার সুযোগ
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা শেষে একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসসি করতে পারে বেশ কয়েকটি বিষয়ে। এগুলো হলো-
এছাড়া AMIE সার্টিফিকেট অর্জন করেও প্রফেশনালি বেশি এগিয়ে যেতে পারবে।
ভর্তির যোগ্যতা
ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার পাশকৃত সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ প্রাপ্ত ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। এসএসসি সহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ২ বছর মেয়াদী ট্রেড কোর্স প্রার্থীর আবেদন করতে পারবে। জিপিএ পদ্ধতি চালুর পূর্বে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২ বিভাগে উত্তীর্ণ যেকোনো বয়সী শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
ছবি | নাম | পদবি |
---|---|---|
ইঞ্জিনিয়ার মনোজিত সরকার | ইন্সট্রাক্টর(টেক) ইলেকট্রনিক্স ও বিভাগীয় প্রধান ইলেকট্রিক্যাল(২য় শিফট) | |
মোঃ আহসান হাবিব | ইন্সট্রাক্টর(টেক/ ইলেকট্রনিক্স) (১ম শিফট) | |
এস এম তাহমিদ সাদিক | ইন্সট্রাক্টর(টেক) ইলেকট্রনিক্স(২য় শিফট) ও বিভাগীয় প্রধান ইলেকট্রিক্যাল (১ম শিফট) | |
জিনাত আরা | জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(টেক)ইলেক্ট্রনিক্স |